শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Shikkha Bichitra
রবিবার, ১৫ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ই-কমার্স | তথ্য-প্রযুক্তি | দেশজুড়ে | ব্যাবসা-বাণিজ্য » ই-কমার্স খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি
প্রথম পাতা » ই-কমার্স | তথ্য-প্রযুক্তি | দেশজুড়ে | ব্যাবসা-বাণিজ্য » ই-কমার্স খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি
৪৫৬ বার পঠিত
রবিবার, ১৫ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ই-কমার্স খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি

---

ই-কমার্সের বিকাশে এ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য অটোমেশনে জোর দিতে হবে। দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যাতে বিদেশেও বাণিজ্য করতে পারে সে সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ এবং সহায়ক কর ও শুল্ক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

শনিবার (১৪ আগস্ট)ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ই-কমার্স খাতের বিকাশে টেকসই ইকোসিস্টেম প্রণয়ন’ শীর্ষক অনলাইন সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দ্রুত ই-কমার্সের বিকাশ ঘটছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে নিয়ম পরিপালন হচ্ছে না। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কীভাবে এসব ব্যবসা পরিচালিত হবে তার একটি নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। এতে গ্রাহকের আস্থা বাড়বে। তবে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এ খাতের জন্য বিদ্যমান নীতিমালা এবং ভোক্তা অধিকার আইনেও প্রয়োজনীয় সংশোধন ও সংস্কার করা প্রয়োজন। তিনি ডাটা প্রটেকশন (তথ্য নিরাপত্তা) আইন করার সুপারিশ করেন।

রিজওয়ান রাহমান বলেন, সাম্প্র্রতিক সময়ে ই-কমার্স খাতে কিছু অসংগতি ও ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণ নিয়ে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ নিরসনে টেকসই নীতিমালা দরকার। এ খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা দরকার।

পাঠাওয়ের সভাপতি ফাহিম আহমেদ বলেন, ডিজিটাল ব্যবসার প্রসারে টেকসই অবকাঠামো ও নীতি সহায়তার বিকল্প নেই।

দারাজ বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম বলেন, ব্যাপক ছাড় দিয়ে পরিচিতি নেওয়া কোনো টেকসই ব্যবস্থা নয়।

ইস্টার্ন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক খুরশেদ আনোয়ার বলেন, বেশিরভাগ স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাসহ ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকে না। এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যবসায়ী সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে।

কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার কে এম তানজিব-উল-আলম বলেন, ই-কমার্স উন্নয়নে ভোক্তাদের আস্থা অর্জন গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেটপ্লেস মডেলের আরও সম্প্র্রসারণে সমন্বয় বাড়াতে হবে। ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ডিজিটাল কমার্স খাতের সঙ্গে সরকারের বেশ কিছু মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ভূমিকা থাকলেও সমন্বয়ের অভাব আছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২০ সালে দেশে ই-কমার্স খাতে প্রায় ২০০ কোটি ডলার লেনদেন হয়েছে এবং চলতি বছর প্রায় ২৫০ কোটি ডলার লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২০ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে (এফ-কমার্স) লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩২০ কোটি টাকা, যা আগামীতে আরও বাড়বে।

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, নগদের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আশীষ চক্রবর্তী প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।