শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Shikkha Bichitra
বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | বিশ্ববিদ্যালয় » যবিপ্রবিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেশিয়ামের
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | বিশ্ববিদ্যালয় » যবিপ্রবিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেশিয়ামের
৬২৩৫০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যবিপ্রবিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেশিয়ামের

যবিপ্রবিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেশিয়ামেরবিশ্বমানের একটি জিমনেশিয়াম তৈরি করা হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেশিয়াম বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। এর নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে।

আগামী ১৪ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে যাত্র শুরু হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জিমনেশিয়াম। ২২ হাজার ২৮০ বগফুটের আন্তর্জাতিক মানের এই জিমনেশিয়ামটিতে ফুটসাল, বাস্কেট, ভলিবল, টেবিলটেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে খেলায়াড়দের ফিটনেসের জন্য থাকবে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি কন্ডিশনাল ল্যাব। শুধু খেলায়াড়দের জন্য নয়, যবিপ্রবির শিক্ষার্থীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও কন্ডিশনাল ল্যাবে গিয়ে ব্যায়ামসহ জিমনেশিয়ামের অন্যান্য সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া জিমনেশিয়ামের প্রবেশমুখে তৈরি করা হচ্ছে শেখ রাসেলের একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা সড়ক সংলগ্ন সুউচ্চ এই ভবনের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের শুরুর দিকে।

জিমনেশিয়ামটির প্রকল্প রিচালক এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে চেয়ারম্যান ড. জাফিরুল ইসলাম বলেন, মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জিমনেশিয়াম। আমাদের এই জিমনেশিয়ামটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। জিমনেশিয়ামটির সাথে আমাদের একটি আন্তর্জাতিকমানের কন্ডিশনাল ল্যাবও থাকবে।

তিনি বলেন, এখানে খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থা ও তাদের ফিটনেস পর্যেক্ষণ করা যাবে। এমনকি জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে পারব এখানে। এ ছাড়াও এই কন্ডিশনাল ল্যাবে আমরা সাধারণ মানুষসহ খেলোয়াড়দের কিভাবে শারীরিক সক্ষমতা ও পেশীর কার্যক্রম বাড়ানো যায় সেসব নিয়ে গবেষণা করতে পারব। খেলোয়াড়রা কিভাবে কম শক্তি ব্যয় করে সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে পারে সেই ধরণের পরীক্ষা ও গবেষণা করা হবে এখানে।

সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ধরনের একটি জিমনেশিয়াম যবিপ্রবির প্রাঙ্গণে হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি জিমনেশিয়ামটি আন্তর্জাতিকমানের ইনডোর খেলা যেমন বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদিতে একটি ভেন্যু হিসেবে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবে। এছাড়াও আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আমাদের টিএসসি সম্পন্ন হবে। সেখানকার ডরমিটরিতে চাইলে খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা করা যাবে। এ ছাড়া জিমনেশিয়ামটি আমাদের শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় ও জাতীয় ইনডোর গেমগুলোতে অনেক বড় অবদান রাখবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবে এই ধরনের অবদান রাখতে পারা অবশ্যই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় বলে এ সময় যোগ করেন উপাচার্য।