মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » বিশ্ববিদ্যালয় | শিক্ষা » বহির্বিশ্বে বাউবির শিক্ষা কার্যক্রম: জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ
বহির্বিশ্বে বাউবির শিক্ষা কার্যক্রম: জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ
দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে বদ্ধপরিকর।
সম্প্রতি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। বিদেশে কর্মরত এই জনশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।
বিষয়টি বাউবি বিবেচনায় এনে প্রবাসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় উন্মুক্ত ও দূরশিক্ষণের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মজীবীদের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাউবি নিশ প্রোগ্রামের অধীনে এইচএসসি ও স্নাতক প্রোগ্রাম চালু করেছে। ই-বুক, অন লাইন টিউটোরিং, শিক্ষার্থী সেবায় তাদের সুবিধামতো সময়ে মেন্টোরিং করে প্রোগ্রাম দু’টি পরিচালিত হচ্ছে।
একইভাবে সৌদি আরবে ৪টি শহরে মক্কা, দাম্মাম, রিয়াদ ও মদীনায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজে স্টাডি সেন্টার মেন্টোরিং খুলে এসএসসি ও এইচএসসি প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। কাতারেও বাংলাদেশের দূতবাসের সহযোগিতায় একইভাবে অনুরূপ প্রোগ্রাম চালু হয়েছে।
প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা এ সকল প্রোগ্রামে বাউবির অ্যাপস ব্যবহার, দূতাবাসের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা, গাজীপুর থেকে প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী স্কুল ও ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিক উয়িং কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় পরিচালিত হয়ে আসছে। যে কোন সমস্যায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষক, ফোকাল পয়েন্ট এবং মেন্টরের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সবসময় যুক্ত থাকছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা আঞ্চলিক অফিসে দক্ষিণ কোরিয়ায় নবনিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ কর্মসূচিতে বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার মিলিত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ সাক্ষাতে প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিশদ আলোচনা, শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধিসহ নানা দিক নিয়ে ত্রিপক্ষীয় ফলপ্রসু আলোচনা হয়। সভায় এ লক্ষে বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর ও বাউবির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক চুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সময় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল, রেজিস্ট্রার ড. মহা. শফিকুল আলম সংযুক্ত ছিলেন।
বাউবির ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিক উয়িং নামে এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্বতন্ত্র অফিস খোলা হয়েছে। যুগ্ম পরিচালক সঙ্গীতা মোর্শেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এ সকল কাজ ত্বরান্বিত করছেন।
উপাচার্য প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের অভিপ্রায় বাস্তবায়ন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়কে সামনে রেখে কর্মমুখী, গণমূখী ও জীবনমুখী শিক্ষাকে বাউবির দীক্ষা এই শ্লোগানকে ব্রত হিসেবে নিয়ে প্রবাসীদের উচ্চশিক্ষার সোপানে নিয়ে আসার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রোড ম্যাপ নিয়ে কথা বলেন।
ইতোমধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট স্কুল ও প্রশাসনিক বিভাগগুলোকে এ কাজকে পবিত্র অঙ্গীকার হিসেবে নেওয়ার আহ্বান জানান। বিশ্ববিদ্যালয় মনে করে দেশপ্রেমের মাধ্যমে একনিষ্ঠভাবে কাজ করলে নিশ্চিত দেশ এগিয়ে যাবেই।