শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Shikkha Bichitra
রবিবার, ১৫ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » বিদেশে উচ্চশিক্ষা | বিশ্ববিদ্যালয় | বৃত্তি | শিক্ষা | শিক্ষাঙ্গন » নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ওয়েবিনার
প্রথম পাতা » বিদেশে উচ্চশিক্ষা | বিশ্ববিদ্যালয় | বৃত্তি | শিক্ষা | শিক্ষাঙ্গন » নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ওয়েবিনার
৫৯২ বার পঠিত
রবিবার, ১৫ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ওয়েবিনার

 ---

বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ শেষে অনেকেই দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন। ভিনদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দামি ডিগ্রি কিংবা শিক্ষাজীবন শেষে ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা কানাডার মত দেশে স্থায়ীভাবে নিজের কর্মসংস্থান বানাতে চান। এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও সঠিক তথ্য, গাইডলাইন কিংবা স্কলারশিপের অভাবে অনেক মেধাবী ও সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীর বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন থেকে যায় অধরা।

আর তাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিমার্টমেন্ট অব ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেসের উদ্যোগে ১২ আগস্ট ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্কলারশিপ এবং চাকরি’ বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েবিনারের প্রধান অতিথি ছিলেন মো. শাহিনূর আলম জনি। সঞ্চালনায় ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের লেকচারার মেহেদী হাসান।

প্রধান অতিথি শাহিনূর আলম জনি প্রথমেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কী ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে পারেন, সেসব নিয়ে আলোচনা করেন। পরে বাধা অতিক্রমের ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়া কীভাবে শিক্ষার্থীরা স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে পারেন, সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফল একটু তুলনামূলক কম কিংবা খারাপ থাকলেও সিভিতে উপস্থাপিত বিশেষ কোনো কার্যক্রম, নিজস্ব কর্মদক্ষতা, সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি অনেক সময় সঠিক উপায়ে তথ্য উপস্থাপন অপেক্ষা গ্রহণযোগ্য কিছু তথ্যই প্রোফাইলে অতিরিক্ত মাত্রা এনে দিতে পারে।’

দ্বিতীয় পর্বে শিক্ষার্থীদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্কলারশিপ ও চাকরি পাওয়ার পাচটি মানদণ্ড উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রথমত মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল, ভালো এসওপি, রেফারেন্স, আইএলটিএস পরীক্ষায় ভালো স্কোর এবং সঠিক তথ্য সম্বলিত একটি প্রোফাইল শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ সুগম করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারে তাড়াহুড়ো না করে বরং একাডেমিক পড়াশোনা এবং স্কিল ডেভেলপমেন্টের দিকে নজর দিয়ে স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর শেষেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা ভালো।’

ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক শেষ করা এক শিক্ষার্থীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি তার স্নাতকের বিষয় ছাড়া অন্য নতুন বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করার পরামর্শ দেন। যা তার দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ নিশ্চিতে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। তার এসব মূল্যবান পরামর্শ শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে অনেকটাই সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

এছাড়াও তিনি আইএলটিএস, জিআরই পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের বসবাস উপযোগিতার ভিত্তিতে দেশ নির্বাচন, বিশ্বের সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা এবং শিক্ষার্থীর প্রোফাইলে সংযুক্ত আবশ্যক কিছু বিষয়সহ প্রাসঙ্গিক সব তথ্য উপস্থাপন করেন।



আর্কাইভ