শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

Shikkha Bichitra
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » Default Category | কলেজ | মাধ্যমিক বিদ্যালয় | সাক্ষাৎকার » ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পাঠদানকে আনন্দদায়ক করে তোলে - মো. শরফ উদ্দীন সোহ্রাওয়ার্দী, সভাপতি, গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজ
প্রথম পাতা » Default Category | কলেজ | মাধ্যমিক বিদ্যালয় | সাক্ষাৎকার » ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পাঠদানকে আনন্দদায়ক করে তোলে - মো. শরফ উদ্দীন সোহ্রাওয়ার্দী, সভাপতি, গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজ
৩২২৭৫২ বার পঠিত
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পাঠদানকে আনন্দদায়ক করে তোলে - মো. শরফ উদ্দীন সোহ্রাওয়ার্দী, সভাপতি, গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজ

ডিজিটাল কনটেন্ট এর মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পাঠদানকে আনন্দদায়ক করে তোলে - মো. শরফ উদ্দীন সোহ্রাওয়ার্দী, সভাপতি,  গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজবাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যার দিক থেকে বৃদ্ধি পেলেও তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষার মানের উন্নতি ঘটছে না। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ভালো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অভাব দিন দিন প্রকট হচ্ছে। শিক্ষা দেশ ও জাতির সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব-পরিম-লে প্রবেশ করেছে। একজন শিক্ষার্থীকে সবদিক থেকে সক্ষম করে তুলতে হলে দেশের গুণগত মান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আর শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও গড়ে উঠছে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষাবিচিত্রাকে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকার কথাগুলো বলছিলেন গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি মো: শরফ উদ্দীন সোহ্রাওয়ার্দী। তিনি আরো, বলেন সুশৃংঙ্খল ও মেধাবী জাতি গঠনের স্বপ্ন বুুুকে নিয়ে অভিভাবকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী শিক্ষার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে মিরপুর এলাকায় ‘গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজ’- এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি প্লে-গ্রুপ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সফলতার সাথে শিক্ষা-কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দক্ষ পরিচালনা পরিষদ ও ব্যবস্থাপনা, সুন্দর নিরিবিলি পরিবেশ, কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লীর আন্তরিক তত্ত্ববধানে সুনিপুণ পাঠ-পরিকল্পনা ও সৃজনশীল পাঠদান পদ্ধতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি চঊঈ, ঔঝঈ, ঝঝঈ এবং ঐঝঈ পরীক্ষায় অ+ সহ শতভাগ পাশ এর কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনের সুখ্যাতি পেয়েছে। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় অভিভাবকদের চাহিদার ফলে মিরপুর-১০ নং-এ মূলভবন, আগারগাঁও তালতলায় ব্রাঞ্চ-১ এবং মিরপুর-১৪ নং এ ব্রাঞ্চ-২ সহ মোট ৩টি ক্যাম্পাস-এ সফলতার সাথে শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সাক্ষাৎকারে লরেন্স সিং।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুণগত মান সম্পর্কে কিছু বলুন।
মো.শরীফ উদ্দীন সোহ্রাওয়ার্দী: আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হল ছাত্র-ছাত্রীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে ভাল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজ’ ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আমাদের এখানে রয়েছে অভিজ্ঞ এবং নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকম-লী- যাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, আধুনিক প্রযুক্তি-সুসজ্জিত ক্লাসরুম, যুুগোপযোগী পাঠদান পদ্ধতি, সুনিয়ন্ত্রিত শৃঙ্খলা, পরিকল্পিত পাঠ-পরিকল্পনা এবং কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
এ প্রতিষ্ঠানে বছরের শুরুতেই একটি একাডেমিক সিলেবাস এবং বর্ষপঞ্জি প্রদান করা হয়। সে অনুযায়ী সারা বছর পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমাদের এখানে ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করা হয়। শিক্ষকগণ ছাত্র-ছাত্রীদের মুখস্থ করার অভ্যাস পরিহার করে নিজস্ব চিন্তা বিকশিত করার প্রতি লক্ষ্য রেখে পাঠদান করেন। তবে পিছিয়ে পড়া এবং দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠদানের মাধ্যমে তাদের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করা হয়। আমাদের নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকম-লী শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে অভিভাবকের সাথে শিক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করে থাকেন।

পঞ্চম, অষ্টম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রথমে সেমিস্টার পরীক্ষার শেষে প্রিটেস্ট, টেস্ট ও মডেল টেস্ট নেওয়া হয়। সকল পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের পর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সকল উত্তরপত্র সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের অবগতির জন্য বাসায় প্রেরণ করা হয়, এতে শিক্ষার্থীবৃন্দ উত্তরপত্রে ভুল হবার কারণ জানতে পারে এবং তা সংশোধনের পর্যাপ্ত সুযোগ পায়। প্রতি শিক্ষাবর্ষে অভিভাবক, শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সমন্বয়ে একাধিক মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা রয়েছে। সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে জাতীয় এবং আঞ্চলিক অঙ্গনে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রয়েছে সফল অংশগ্রহণ। সংস্কৃতিমনা শিক্ষার্থী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সংগীত, আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, নৃত্যসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়ে থাকে। বছর শেষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়। এখানে রয়েছে সমৃদ্ধ আধুনিক কম্পিউটার ল্যাব। এখান থেকে সাহায্য নিয়ে শিক্ষার্থীগণ প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করছে। আমাদের পুরো ক্যাম্পাস এর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য ঈঈ ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

শিক্ষাবিচিত্রা: এখানে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারকে কীভাবে উৎসাহিত করা হয় এবং কী ধরনের সুবিধা রয়েছে ?
মো.শরীফ উদ্দীন সোহ্রাওয়ার্দী: বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। তথ্য ও প্রযুক্তি জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে তথ্য-প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। এ কারণে ‘গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজ’ তথ্য ও প্রযুক্তিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে সাহায্য করছে। অনলাইন ভিত্তিক কম্পিউটার প্রোগ্রামের সহযোগিতায় ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল প্রদান, বেতন নেওয়াসহ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রকার যোগাযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষার ক্ষেত্রে ডিজিটাল কনটেন্ট-এর মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুমে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেয়া হয়, যা শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষের পাঠদানকে আনন্দদায়ক ও বোধগম্য করে তোলে।



আর্কাইভ