শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Shikkha Bichitra
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » Default Category | কলেজ | সাক্ষাৎকার » তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধার দিক থেকে আমরা এগিয়ে - ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি, অধ্যক্ষ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার,
প্রথম পাতা » Default Category | কলেজ | সাক্ষাৎকার » তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধার দিক থেকে আমরা এগিয়ে - ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি, অধ্যক্ষ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার,
১৬৬৭৫২ বার পঠিত
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধার দিক থেকে আমরা এগিয়ে - ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি, অধ্যক্ষ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার,

তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধার দিক থেকে আমরা এগিয়ে - ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি,  অধ্যক্ষ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার,রাজধানী ঢাকা মহানগরের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম একটি সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এটি পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত। ১৮৮২ সাল থেকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি ১২৫ বর্ষপূর্তি উদ্যাপন করেছে। ২০১৬ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শাখা চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পবিত্র ক্রুশ ভ্রাতৃসংঘের ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ সি.এস.সি। যিনি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার পানজোরা গ্রামের কৃতি সন্তান। তিনি নাগরী মিশন প্রাইমারি স্কুলে তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন। নাগরী সেন্ট নিকোলাস হাই স্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করার পর ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে এস.এস.সি. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সহিত পাশ করেন। সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন তিনি পবিত্র ক্রুশ সংঘের একজন সন্ন্যাসব্রতী ব্রাদার হবেন বলে মনস্থির করেন। অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন তিনি এই ধর্মসংঘের গঠনগৃহে যোগদান করেন। ব্রাদার প্রদীপ ১৯৮৫ সালে ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করার পর ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সালের মার্চ পর্যন্ত তাঁর নিজ বিদ্যালয় নাগরী সেন্ট নিকোলস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে সেন্ট প্লাসিড উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম- কয়েক মাস সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি ২০০২ সালে ইংল্যান্ডে গমন করেন। উচ্চ শিক্ষা শেষে ২০০৪ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি সেন্ট প্লাসিড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি সফলতার সাথে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর ২০১২ সালের ১লা নভেম্বর থেকে তিনি পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি খোলার অনুমতি পায়। ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড বর্তমানে স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি কলেজের সার্বিক দিক নিয়ে কথা হয় শিক্ষাবিচিত্রা পত্রিকার এই প্রতিবেদকের সাথে।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনার প্রতিষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চাই?

ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি.: আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নিয়মিত পাঠদান, ক্লাসে পড়া দেওয়া এবং নেওয়া, নিয়মিত ক্লাস টেস্ট নেওয়া, সাময়িক পরীক্ষাগুলো সময়মতো হওয়া এবং সঠিক সময়ে ফলাফল প্রকাশ। পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম সমূহও বেশ সক্রিয়। এখানে বিভিন্ন ধরনের ক্লাব রয়েছে, সেগুলোর মধ্য দিয়ে ছাত্ররা নিজেদের বিকশিত করার সুযোগ পায়। যেমন- বিজ্ঞান ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, ইকোলোজিক্যাল ক্লাব, ইংরেজি ক্লাব, দাবা ক্লাব, ম্যাথ ক্লাব, কুইজ ক্লাব, স্কাউটিং। এছাড়া রয়েছে ইনডোর গেমস্, আউটডোর গেমস্। আউটডোর গেমেসর মধ্যে রয়েছে ফুটবল,ক্রিকেট বাস্কেট বল, রাগবি প্রভৃতি। আমাদের আউটডোর গেমস্ এর বিভিন্ন দল নিয়মিতভাবে ফেডারেশনের বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে এবং একই সাথে তারা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভার্সনই এখানে রয়েছে। শিক্ষকদের জবাবদিহিতার বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব দেই। অর্থাৎ শিক্ষকেরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে যায় কিনা, সময় মতো খাতা মূল্যায়ন করা, পরীক্ষার ফলাফল সময়মতো প্রস্তুত করা, মান সম্মত প্রশ্নপত্র তৈরি করা। যেহেতু আমাদের দেশের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা সৃজনশীল কারিকুলামের তাই আমরা মাঝে-মধ্যে শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করি। যেখানে সৃজনশীল পদ্ধতি নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা থাকে। প্রতিটি সাময়িক পরীক্ষার পর অভিভাবকদের নিয়ে আমরা অভিভাবক সমাবেশ করি। ছাত্রদের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে এই সমাবেশে আলোচনা করা হয়। ছাত্রদের পড়াশুনার ব্যাপারে অভিভাবকদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করি। এক্ষেত্রে পঞ্চম, অষ্টম, দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

শিক্ষাবিচিত্রা: আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুণগতমান সম্পর্কে কিছু বলুন?

ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি.: আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার গুণগত মান খুবই ভাল। আমাদের পাশের হার শতভাগ। তবে শিক্ষার গুণগত মান শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষার উপর নির্ভর করে না। এর সাথে কতগুলো বিষয় সম্পর্কিত। সেগুলো হলো- ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক, ছাত্রদের আচরণ, ভালো মানুষ হওয়া প্রভৃতি। আমরা ইতিবাচক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার দিকগুলোতে জোর দিয়ে থাকি। তবে কিছু দিক রয়েছে যেগুলোতে ভাল করতে পারলে গুণগতমান আরও ভালো হবে। যেমন- ক্লাসে যাওয়ার পূর্বে প্রত্যেক শিক্ষকের খুব ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কিছু শিক্ষক রয়েছেন যারা খুব ভালো প্রস্তুতি নেন। আবার কিছু শিক্ষক আছেন যারা সেটা নিয়মিত করেন না। এরা ক্লাসে যাওয়ার পূর্বে ব্যাচে প্রাইভেট পড়ান। এটা সম্পূর্ণ অনুচিত। বিষয়টি আমাকে খুব কষ্ট দেয়। একজন শিক্ষক যদি ক্লাসের বাইরে এই শ্রম দেন তবে ক্লাসে উনার যে দায়িত্ব সেটা পালন করতে ব্যর্থ হবেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করছি শিক্ষকগণ যেন শিক্ষকের ভূমিকায় বিশ্বস্ত থাকেন। পাশাপাশি ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কটাও শিক্ষার গুণগত মান অর্জনে সহায়ক। কোনো ছাত্র যেন তার শিক্ষককে প্রশ্ন করতে ভয় না পায় সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। ছাত্রদের আচরণ পরিবর্তনে আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। যাতে করে তারা ভবিষ্যতে ভালো মানুষ ও আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে। গুণগত মান আরও ভালো করতে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কানুনকেও আমরা গুরুত্ব দেই। সেজন্য আমরা ছাত্রদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকি। শিক্ষা সম্পর্কে বাবা-মায়েদের স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। কারণ অনেক বাবা-মা আছেন যারা শুধু ভালো ফলাফলকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অনেকের মনোভাব- আমার ছেলের পরীক্ষার ফলাফল ভালো তো আমার ছেলে ভালো। কিন্তু তাঁদের ছেলে কতটুকু শিখল সেটা বাবা-মায়েরা খেয়াল করেন না। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলই শিক্ষার মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। ভাল মানুষ হয়ে উঠা বড় বিষয়। আমরা খুব চেষ্টা করছি বাবা-মায়েদের মধ্যে এই ধারণাটা স্পষ্ট করতে।

শিক্ষাবিচিত্রা: এখানে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারকে কীভাবে উৎসাহিত করা হয় এবং কী ধরনের সুবিধা রয়েছে?

ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি.: আমার মনে হয় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধার দিক থেকে আমরা এগিয়ে আছি। আমাদের দুইটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। একটিতে ৬৪টি, আরেকটিতে ৫৪টি কম্পিউটার রয়েছে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে আমারা খুবই উন্নত। নিয়মিত ব্যবহারিক ক্লাসের মধ্য দিয়ে আমরা প্রতিটি ছাত্রকে দক্ষ করে তুলি। শিক্ষকগণ নিয়মিতভাবে মাল্টিমিডিয়া সুবিধা সম্বলিত ক্লাসরুমে ছাত্রদের ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে পাঠ দিয়ে থাকেন।

শিক্ষাবিচিত্রা: আমাদের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাজীবন শেষে অনিশ্চিত জব মার্কেট সম্পর্কে হতাশাগ্রস্ততা লক্ষ্য করা যায়। এ প্রসঙ্গে আপনার পরামর্শ কী?

ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি.: শিক্ষা লাভের পর কর্মসংস্থান হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠান বরাবরই ব্যতিক্রম। যারা আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ভালভাবে পড়াশুনা করে তাদের সবারই ভালো কর্মসংস্থান হয়। শুধু তাই নয় তারা প্রত্যেকেই একটা ভালো পর্যায় পর্যন্ত যেতে পারে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা শিক্ষা শেষে কর্মসংস্থান নিয়ে হতাশায় ভুগে এ ধরনের ঘটনা বিরল। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অমর্ত সেন, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী-এঁরা সবাই এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। ডাক্তার, আইনজীবী, শিক্ষক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাসহ প্রতিটি কর্ম ক্ষেত্রেই আমাদের ছাত্রদের বিচরণ রয়েছে। বাংলা ইংরেজি উভয় ভাষায় ছাত্রদের দক্ষতা অর্জনে আমরা কাজ করি। জব মার্কেট নিয়ে তারাই হতাশার মধ্যে পড়ে যারা শুরু থেকে ভালো পড়ালেখা করে না। সেজন্য প্রতিটি ছাত্রেরই উচিত শুরু থেকে ভালো পড়াশুনা করা।

শিক্ষাবিচিত্রা: শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ বাড়ানোর লক্ষ্যে নানামুখি উদ্যোগ নেয়া দরকার বলে অনেক শিক্ষা বিশেষজ্ঞ মনে করেন। আপনার বক্তব্য জানতে চাই ?

ব্রাদার প্রদীপ প্লাসিড গমেজ, সি.এস.সি.: শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ বাড়ানো খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি। শুধু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেই নয়, শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও এটি অপরিহার্য। ভালোকে ভালো বলা, মন্দকে মন্দ বলার সৎ সাহস থাকতে হবে। আমি আত্ম সমালোচনা করতে দ্বিধাবোধ করি না। সম্প্রতি অনেক শিক্ষক প্রাইভেট বাণিজ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। নৈতিকতার বিচারে এটা অনুচিত। এটা বন্ধ করতে হবে। সরকারি পর্যায়ে কিছু পদক্ষেপ থাকলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ বাড়ানোর ক্ষেত্রে শিক্ষককে প্রথমে নীতিবান হতে হবে। একজন শিক্ষককে তাঁর দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছ হতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার জন্য বাবা-মায়ের ভূমিকাও অনেক বড়। সন্তানকে সময় দেওয়া, তার সাথে সময় কাটানো, পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখা, শব্দ না করে হাঁটা, যেখানে সেখানে থু থু বা ময়লা না ফেলা- এ বিষয়গুলো পরিবারে শিখানো উচিত। এজন্য পরিবারের সচেতনতা খুবই প্রয়োজন। অনেক পিতামাতাই জানেন না সন্ধ্যার পর তাঁদের সন্তান কোথায় যায়, কাদের সাথে মেলামেশা করে । যে কারণে সন্তান একটু বড় হলেই বিপথে পা বাড়ায়। আমাদের রাস্তা-ঘাটের কথা ধরি। শুধু সরকারকে দায়ী করলেই চলবে না। রাস্তা ঘাট পরিষ্কার রাখা আমাদের সবার কর্তব্য। বর্তমানে নোংরা রাস্তা-ঘাট দেখে আমাদের ছেলে-মেয়েরা অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে একটা ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে যে, এটাই ঠিক। এটা যেন কোন সমস্যাই নয়। কিন্তু আসলেই কী তাই! এ বিষয়গুলো সন্তানদের শিখানো উচিত। এ সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা ও ইতিবাচক মূল্যবোধ বাড়ানো যাবে। অন্যদিকে ভাষার ব্যবহার সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে। তারা কী ধরনের ভাষা ব্যবহার করে তা খেয়াল করতে হবে। আঞ্চলিকতা পরিহার করে শুদ্ধ ভাষা চর্চা বাড়াতে হবে, অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষা পরিহারর পরামর্শ দিতে হবে। ধর্মীয় অনুশাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিক্ষা দিতে হবে। আমি যে ধর্মাবলম্বীই হই না কেন; আমি আমার ধর্ম সুন্দর ও পবিত্রভাবে হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করে পালন করলে আমি একজন ভাল মানুষ ও সুনাগরিক হতে পারব। মানুষে মানুষে বৈষম্য আমরা কোনো প্রকারেই সমর্থন করি না।



আর্কাইভ